ধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে ঈদের তারিখ ঘোষণা করেছে এসব দেশ। এ মাসটির সঙ্গে জড়িত ইসলামের অন্যতম বিধান হজ। আর হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান আরাফায় অবস্থান। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এদিন রোজা পালন করেছেন। এ বিষয়ে রোজা পালনে ইসলামের নির্দেশনাও রয়েছে।
আরাফা মূলত আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো চেনা, জানা, পরিচয় হওয়া। দুনিয়ায় প্রেরণের পর আরাফার দিনে হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) পরস্পরের দেখা হয়। এ দিনটি তওবা করা বা ক্ষমা প্রার্থনার দিবস। ইসলামের ঐতিহাসিক এ ময়দান হাশরের দিনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। দিবসটিতে মহান আল্লাহ তার ক্ষমা, রহমত ও দয়া উপস্থাপন করেন।
জিলহজ মাসের ৯ তারিখকে ইওমে আরাফা তথা অরাফার দিন বলা হয়। এদিন হাজিরা এ ময়দানে হাজির হন। চলতি বছর সৌদিতে ৫ মে আরাফার ময়দানে হাজির হবেন। আর সৌদির বাইরে অন্য দেশের মুসলমানরা জিলহজের চাঁদ ওঠা সাপেক্ষে নিজ দেশের সঙ্গে মিলিয়ে ৯ জিলহজ রোজা রাখবেন।
হাদিসে আরাফার দিবসে একটি রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। এ দিন রোজা রাখলে মহান আল্লাহ বান্দার দুই বছরের গুনাহ মাফ করে দেন। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আরাফাতের দিনের রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি যে, তিনি আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (মুসলিম : ১১৬২) অপর এক হাদিসে বলা হয়েছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী বর্ণনা করেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৯ জিলহজ তারিখে রোজা রাখতেন। (আবু দাউদ : ২৪৩৭) আরাফার দিবসে একটি রোজা হলেও জিলহজ মাসের ১ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখার প্রচলন রয়েছে। এর ফলে আরাফার দিবসের রোজা যেমনি আদায় হবে, তেমনি অনেক সওয়াব ও ফজিলত হাসিল করা যায়। মহান আল্লাহ সুরা ফজরের ২ নম্বর আয়াতে দশ রাতের কসম করে বলেন,