২০১৪ সালে ধামরাইয়ে ১০ বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার দায়ে ঢাকার একটি আদালত একজন ইমাম ও তার সহযোগীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আবু ফোরকান মো. মারুফ চৌধুরী পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় এই রায় দেন।
ইমাম সেলিম হোসেন এবং তার সহযোগী ‘জামাল’ কে শিশু পর্নোগ্রাফির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং প্রত্যেককে ৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনা এবং অপরাধে সহায়তার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলার বিচার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলছে।
ধামরাইয়ের বাসনা গ্রামের বাসিন্দা সেলিম আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর পলাতক।
একই গ্রামের জামালের জন্য রায়ের একটি অনুলিপি কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আদালতে শুনানি চলাকালীন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুল।
মামলার বিবরণ অনুসারে, পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী ধামরাইয়ের একটি মসজিদে আরবি পাঠের জন্য যাওয়ার সময় সেলিম মেয়েটিকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।
জামাল তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ধর্ষণের দৃশ্য ধারণ করে এবং পরে তারা তা ইন্টারনেটে প্রকাশ করে।
এই ঘটনায় ধামরাই থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।