বাংলাদেশ শিশু ধর্ষণের মহামারীর সম্মুখীন হচ্ছে। পুরুষতান্ত্রিক দর্শন, অপর্যাপ্ত ধর্ষণ আইন, শিশু ধর্ষণ মোকাবেলায় অপর্যাপ্ত নীতি, রক্ষণশীল ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা এবং প্রচলিত বিচারিক পরিবেশের উপর ভিত্তি করে বৈষম্যের ফলে ভুক্তভোগীদের প্রতি অবিচারের সৃষ্টি হয়েছে। কঠোর শাস্তির জন্য আইন রয়েছে; তবে, শিশু ধর্ষণ সন্তোষজনকভাবে রোধ করা যায়নি। সামাজিক রীতিনীতি, কলঙ্ক, রাজনৈতিক চাপ, অর্থ, ক্ষমতা এবং বিচার ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার পাওয়া অসাধারণভাবে কঠিন করে তোলে। এই নিবন্ধে পুরুষরা কেন শিশুদের ধর্ষণ করে তার কারণগুলি বর্ণনা করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অপরাধীদের মানসিক অবস্থা এবং ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় দুর্বলদের তুলনায় পুরুষদের যে সুবিধা রয়েছে, তারা দায়মুক্তি ভোগ করছে। বিস্তৃতভাবে কারণগুলি বোঝার চেষ্টা করার সময়, পরিসংখ্যানগত তথ্য দেখায় যে এই ধরনের অপরাধের রিপোর্টিং বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে এটি প্রকৃতপক্ষে সংঘটিত অপরাধের প্রকৃত সংখ্যাকে প্রতিনিধিত্ব করে না। নিবন্ধটি শিশু ধর্ষণ সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কিত সামাজিক ঘটনাগুলির উপর আলোকপাত করে এবং অপরাধের রিপোর্ট না করার কারণগুলি চিহ্নিত করে। শিশু ধর্ষণের জন্য অনুপযুক্ত আইন এবং এই আইনগুলির ফাঁকগুলি সম্পর্কে গভীর আলোচনা ন্যায়বিচারের জন্য তাদের লড়াইয়ে ভুক্তভোগীদের যে কষ্টের মুখোমুখি হতে হয় তা প্রদর্শন করে। সবশেষে শিশু ধর্ষণ প্রতিরোধে সামাজিক ও আইনগত সুপারিশ তুলে ধরা হলো।
বাংলাদেশে শিশু ধর্ষণ বিশ্লেষণ: একটি সামাজিক-আইনি দৃষ্টিকোণ
