Suleman Miah

50 পোস্ট
সামাজিক ন্যায়বিচারে অনুপম আদর্শ

সামাজিক ন্যায়বিচারে অনুপম আদর্শ

ন্যায়বিচার মহান ব্যক্তিত্বদের বৈশিষ্ট্য, ধার্মিকদের গুণ, সৎকর্মশীলদের অভ্যাস এবং মুমিনদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতার পথ। পৃথিবীতে এরূপ যত গুণীজন ও নবী-রাসুল এসেছেন, তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ছিলেন বিশ্বনবী, শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। যিনি সর্বোত্তম সালাম ও দোয়ার অধিকারী। ন্যায়বিচার তাঁর মহান চারিত্রিক গুণাবলির অন্যতম। তিনি চেনা-অচেনা, বন্ধু-শত্রু, সমমত বা বিপরীতমত সবার সঙ্গে ন্যায়ের আচরণ করতেন। এমনকি সবচেয়ে কঠোর শত্রুরাও তাঁর ন্যায়বিচারের অংশ পেত। কীভাবে তিনি ন্যায়বিচার করবেন না, যিনি এই স্পষ্ট ও প্রকাশ্য আদেশের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিলেন: হে মুমিনগণ! আল্লাহর জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় থাকো এবং কোনো জাতির প্রতি বিদ্বেষ তোমাদের ন্যায়ের পথ থেকে বিরত রাখবে…
আরও বিস্তারিত!
আবূ মালিক আল আশ্‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

আবূ মালিক আল আশ্‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পাক-পবিত্রতা হল ঈমানের অর্ধেক। ‘আলহাম্‌দু লিল্লা-হ’ মানুষের ‘আমালের পাল্লাকে ভরে দেয় এবং ‘সুবহানাল্ল-হি ওয়াল হাম্‌দু লিল্লা-হ’ সাওয়াবে পরিপূর্ণ করে দেয় অথবা বলেছেন, আকাশমণ্ডলী ও জমিনের মধ্যে যা কিছু আছে তা পরিপূর্ণ করে দেয়। সলাত হল নূর বা আলো। দান-খায়রাত (দানকারীর পক্ষে) দলীল। সব্‌র বা ধৈর্য হল জ্যোতি। কুরআন হল তোমার পক্ষে অথবা বিপক্ষে দলীল । প্রত্যেক মানুষ ভোরে ঘুম হতে উঠে নিজের আত্মাকে তাদের কাজে ক্রয়-বিক্রয় করে– হয় তাকে সে আযাদ করে দেয় অথবা জীবনকে ধবংস করে দেয় । [১]আর এক বর্ণনায় এসেছে, ‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু আল্ল-হু আকবার’ আসমান ও জমিনের মধ্যে যা…
আরও বিস্তারিত!
উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে ঘিরে একদল সহাবী বসেছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আমার হাতে এ কথার বাই’আত গ্রহণ কর যে, আল্লাহ্‌র সাথে কাউকে শারীক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার (যিনা) করবে না, নিজেদের সন্তানাদি (অভাবের দরুন) হত্যা করবে না। কারো প্রতি (যিনার) মিথ্যা অপবাদ দিবে না। শারী’আতসম্মত কোন বিষয়ে অবাধ্য হবে না। তোমাদের মধ্যে যারা এ সকল অঙ্গীকার পূর্ণ করতে পারবে, তাদের জন্য আল্লাহ্‌র কাছে পুরষ্কার রয়েছে। অপরদিকে যে লোক (শির্ক ব্যতীত) অন্য কোন অপরাধ করবে এবং এজন্যে দুনিয়ায় শাস্তি পেয়ে যাবে তাহলে এ শাস্তি তার গুনাহ মাফ হবার কাফফারাহ্ হয়ে যাবে। আর…
আরও বিস্তারিত!
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আবদুল ক্বায়স গোত্রের এক প্রতিনিধি দল নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর কাছে পৌঁছলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, এরা কোন গোত্রের লোক (বা কোন প্রতিনিধি দল? লোকেরা জবাব দিল, এরা রবী‘আহ্ গোত্রের লোক। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, গোত্র বা প্রতিনিধি দলকে মুবারকবাদ! অপমান ও অনুতাপবিহীন অবস্থায় আগত প্রতিনিধি দলকে মুবারাকবাদ! প্রতিনিধি দল আরয করল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনার ও আমাদের মধ্যে কাফির যুদ্ধবাজ মুযার বংশ অন্তরায়স্বরূপ থাকায় হারাম মাস ব্যতীত অন্য মাসে আপনার নিকট আসতে পারি না। তাই আপনি হাক্ব ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়কারী এমন কিছু পরিষ্কার নির্দেশ দিন যা আমরা মেনে চলব…
আরও বিস্তারিত!
লহাহ্ ইবনু ‘উবায়দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

লহাহ্ ইবনু ‘উবায়দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একজন নাজদবাসী লোক এলোমেলো কেশে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আসল। আমরা তার ফিসফিস শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। কিন্তু বেশ দূরে থাকার কারণে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। এমনকি সে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খুব নিকটে এসে পৌঁছল। সে ইসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল (ইসলাম কি?)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তরে বললেন, দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করা। তখন সে লোকটি বলল, এছাড়া কি আর কোন সলাত আমার উপর ফারয? তিনি বললেন, না। তবে তুমি নাফল সলাত আদায় করতে পারো। তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, রমাযান মাসের সিয়াম পালন করবে। সে ব্যক্তি বলল, এছাড়া কি…
আরও বিস্তারিত!
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম এবং ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন আজ সোমবার। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে, অর্থাৎ আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে তাঁর জন্ম হয়। ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথ দেখিয়ে ৬৩ বছর বয়সে একই তারিখে তিনি পৃথিবী ছেড়ে যান।  আরব দুনিয়া যখন আইয়ামে জাহেলিয়াত বা পাপাচারের অন্ধকারে ডুবে ছিল, তখন আলোকবর্তিকা হয়ে জন্ম হয় আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর। মক্কার কুরাইশ গোত্রের সাধারণ পরিবারে তাঁর জন্ম। অল্প বয়সেই তিনি সত্যবাদিতা ও সততার প্রতীক হয়ে ওঠেন। শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত হন। ক্ষমাশীলতা, দানশীলতা ও সহিষ্ণুতায় তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষে পরিণত হন। হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। দীর্ঘ ২৩ বছর ইসলামের…
আরও বিস্তারিত!
তাওবার মাধ্যমে ফিরে আসা

তাওবার মাধ্যমে ফিরে আসা

বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর দয়া-মায়া, করুণা অনন্ত অসীম। আল্লাহ নিজেই ঘোষণা করেছেন, নিশ্চয় তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু। আল্লাহর করুণা ও দয়া লাভের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে তাওবা। ‘তাওবা’ শব্দের অর্থ হলো ফিরে আসা। যখন তাওবা শব্দটির সম্পর্ক মানুষের সঙ্গে হয় তখন তার তাৎপর্য দাঁড়ায়, বান্দার কৃত অন্যায়ের জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হওয়া; সে অন্যায় সম্পূর্ণরূপে বর্জন করা; ভবিষ্যতে এমন অন্যায় না করার দৃঢ়সংকল্প করা। এমন দৃঢ়সংকল্প করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার নামই তাওবা। তাওবার গুরুত্ব বিষয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা হুদের ৯০ আয়াতে এরশাদ করেন– আর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার নিকট ক্ষমা চাও, অতঃপর তাঁরই দিকে ফিরে এসো। নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক…
আরও বিস্তারিত!
বিচারে ইনসাফ ও ন্যায়নিষ্ঠতা

বিচারে ইনসাফ ও ন্যায়নিষ্ঠতা

সমাজ ও দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের বিকল্প নেই। বিশ্বজুড়ে সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মূল কারণ হচ্ছে ন্যায়বিচারের অভাব। ইসলামে ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যই হলো প্রত্যেককে তার অধিকার পরিপূর্ণভাবে দিয়ে দেওয়া। সব মানুষই যদি তার প্রাপ্য অংশ পায়, তাহলে সেখানে কোনো হানাহানি ও অশান্তি থাকে না। আল্লাহতায়ালা সবচেয়ে বড় ন্যায়বিচারক। ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা যেহেতু আল্লাহরই কাজ, তাই শাসনকাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সবাইকে আল্লাহপাক এ নির্দেশই প্রদান করেন, তারা যেন সমাজ ও দেশের সর্বত্র ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে। ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যদি নিজ পিতা-মাতার বিরুদ্ধেও সাক্ষ্য দিতে হয় তা যেন দেওয়া হয়।  পবিত্র কোরআনের সুরা আন নিসার ৩৫…
আরও বিস্তারিত!
তাবলিগে দাওয়াত ও একতার গুরুত্ব

তাবলিগে দাওয়াত ও একতার গুরুত্ব

তাবলিগ জামাত একটি অরাজনৈতিক ধর্মভিত্তিক সংগঠন। তাবলিগ জামাত অর্থ ‘ধর্মপ্রচারকদের সমাজ’, যারা মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকে। ১৯২৬ সালে দেওবন্দপন্থি আলেম মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি ভারতের মেওয়াতে ‘তাবলিগ জামাত’ প্রতিষ্ঠা করেন। এর মূলনীতি ৬টি– কালিমা, নামাজ, ইলম ও জিকির, একরামুল মুসলিমিন, ইখলামে নিয়ত, দাওয়াত ও তাবলিগ। ওই সংগঠনের স্লোগান হলো– হে মুসলমান, (সত্যিকারের) মুসলমান হও। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত সুরা আল ইমরান-১১০ ও হা-মীম আস্সাজদাহ-৩৩ আয়াত অনুসারে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম চলে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের প্রায় ১৮০টি দেশে। তবে ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’-এর হিসাব অনুসারে, ১৫০টিরও অধিক দেশে তাবলিগ জামাতের কয়েক কোটি অনুসারী…
আরও বিস্তারিত!
ইমানের সঙ্গে তাকওয়া শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি

ইমানের সঙ্গে তাকওয়া শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো ইমান। ইমান ছাড়া কোনো সৎ আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। অর্থাৎ ইমানহীন মানুষ চিরকাল জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে থাকবে। তাই জান্নাতে যাওয়ার পূর্বশর্ত হলো ইমান। ইমান শব্দটি ‘আমনুন’ থেকে এসেছে। আমনুনের অর্থ হচ্ছে আত্মার প্রশান্তি ও নির্ভীকতা লাভ, যা নিরাপত্তা দেওয়া ও আশঙ্কামুক্ত করা অর্থে ব্যবহার করা হয়। এই আমনুন ধাতুর ক্রিয়ারূপই হলো  ইমান। ইমানের আভিধানিক অর্থ– আন্তরিক বিশ্বাস। মহানবী (সা.) আল্লাহর পক্ষ থেকে যা নিয়ে এসেছেন তার ওপর আন্তরিক বিশ্বাস স্থাপন করার নাম  ইমান। ইমান মূলত মূল, শাখাসহ বিষয়ের প্রতি হৃদয়ে বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি ও কর্মে বাস্তবায়নের সমন্বিত নাম। তবে শরিয়া দৃষ্টিকোণ থেকে পাঁচটি বিষয়ের…
আরও বিস্তারিত!
bn_BD