ইসলাম

সামাজিক ন্যায়বিচারে অনুপম আদর্শ

সামাজিক ন্যায়বিচারে অনুপম আদর্শ

ন্যায়বিচার মহান ব্যক্তিত্বদের বৈশিষ্ট্য, ধার্মিকদের গুণ, সৎকর্মশীলদের অভ্যাস এবং মুমিনদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতার পথ। পৃথিবীতে এরূপ যত গুণীজন ও নবী-রাসুল এসেছেন, তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ছিলেন বিশ্বনবী, শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। যিনি সর্বোত্তম সালাম ও দোয়ার অধিকারী। ন্যায়বিচার তাঁর মহান চারিত্রিক গুণাবলির অন্যতম। তিনি চেনা-অচেনা, বন্ধু-শত্রু, সমমত বা বিপরীতমত সবার সঙ্গে ন্যায়ের আচরণ করতেন। এমনকি সবচেয়ে কঠোর শত্রুরাও তাঁর ন্যায়বিচারের অংশ পেত। কীভাবে তিনি ন্যায়বিচার করবেন না, যিনি এই স্পষ্ট ও প্রকাশ্য আদেশের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিলেন: হে মুমিনগণ! আল্লাহর জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় থাকো এবং কোনো জাতির প্রতি বিদ্বেষ তোমাদের ন্যায়ের পথ থেকে বিরত রাখবে…
আরও বিস্তারিত!
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম এবং ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন আজ সোমবার। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে, অর্থাৎ আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে তাঁর জন্ম হয়। ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথ দেখিয়ে ৬৩ বছর বয়সে একই তারিখে তিনি পৃথিবী ছেড়ে যান।  আরব দুনিয়া যখন আইয়ামে জাহেলিয়াত বা পাপাচারের অন্ধকারে ডুবে ছিল, তখন আলোকবর্তিকা হয়ে জন্ম হয় আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর। মক্কার কুরাইশ গোত্রের সাধারণ পরিবারে তাঁর জন্ম। অল্প বয়সেই তিনি সত্যবাদিতা ও সততার প্রতীক হয়ে ওঠেন। শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত হন। ক্ষমাশীলতা, দানশীলতা ও সহিষ্ণুতায় তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষে পরিণত হন। হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। দীর্ঘ ২৩ বছর ইসলামের…
আরও বিস্তারিত!
তাওবার মাধ্যমে ফিরে আসা

তাওবার মাধ্যমে ফিরে আসা

বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর দয়া-মায়া, করুণা অনন্ত অসীম। আল্লাহ নিজেই ঘোষণা করেছেন, নিশ্চয় তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু। আল্লাহর করুণা ও দয়া লাভের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে তাওবা। ‘তাওবা’ শব্দের অর্থ হলো ফিরে আসা। যখন তাওবা শব্দটির সম্পর্ক মানুষের সঙ্গে হয় তখন তার তাৎপর্য দাঁড়ায়, বান্দার কৃত অন্যায়ের জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হওয়া; সে অন্যায় সম্পূর্ণরূপে বর্জন করা; ভবিষ্যতে এমন অন্যায় না করার দৃঢ়সংকল্প করা। এমন দৃঢ়সংকল্প করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার নামই তাওবা। তাওবার গুরুত্ব বিষয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা হুদের ৯০ আয়াতে এরশাদ করেন– আর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার নিকট ক্ষমা চাও, অতঃপর তাঁরই দিকে ফিরে এসো। নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক…
আরও বিস্তারিত!
বিচারে ইনসাফ ও ন্যায়নিষ্ঠতা

বিচারে ইনসাফ ও ন্যায়নিষ্ঠতা

সমাজ ও দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের বিকল্প নেই। বিশ্বজুড়ে সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মূল কারণ হচ্ছে ন্যায়বিচারের অভাব। ইসলামে ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যই হলো প্রত্যেককে তার অধিকার পরিপূর্ণভাবে দিয়ে দেওয়া। সব মানুষই যদি তার প্রাপ্য অংশ পায়, তাহলে সেখানে কোনো হানাহানি ও অশান্তি থাকে না। আল্লাহতায়ালা সবচেয়ে বড় ন্যায়বিচারক। ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা যেহেতু আল্লাহরই কাজ, তাই শাসনকাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সবাইকে আল্লাহপাক এ নির্দেশই প্রদান করেন, তারা যেন সমাজ ও দেশের সর্বত্র ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে। ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যদি নিজ পিতা-মাতার বিরুদ্ধেও সাক্ষ্য দিতে হয় তা যেন দেওয়া হয়।  পবিত্র কোরআনের সুরা আন নিসার ৩৫…
আরও বিস্তারিত!
তাবলিগে দাওয়াত ও একতার গুরুত্ব

তাবলিগে দাওয়াত ও একতার গুরুত্ব

তাবলিগ জামাত একটি অরাজনৈতিক ধর্মভিত্তিক সংগঠন। তাবলিগ জামাত অর্থ ‘ধর্মপ্রচারকদের সমাজ’, যারা মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকে। ১৯২৬ সালে দেওবন্দপন্থি আলেম মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি ভারতের মেওয়াতে ‘তাবলিগ জামাত’ প্রতিষ্ঠা করেন। এর মূলনীতি ৬টি– কালিমা, নামাজ, ইলম ও জিকির, একরামুল মুসলিমিন, ইখলামে নিয়ত, দাওয়াত ও তাবলিগ। ওই সংগঠনের স্লোগান হলো– হে মুসলমান, (সত্যিকারের) মুসলমান হও। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত সুরা আল ইমরান-১১০ ও হা-মীম আস্সাজদাহ-৩৩ আয়াত অনুসারে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম চলে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের প্রায় ১৮০টি দেশে। তবে ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’-এর হিসাব অনুসারে, ১৫০টিরও অধিক দেশে তাবলিগ জামাতের কয়েক কোটি অনুসারী…
আরও বিস্তারিত!
ইমানের সঙ্গে তাকওয়া শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি

ইমানের সঙ্গে তাকওয়া শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো ইমান। ইমান ছাড়া কোনো সৎ আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। অর্থাৎ ইমানহীন মানুষ চিরকাল জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে থাকবে। তাই জান্নাতে যাওয়ার পূর্বশর্ত হলো ইমান। ইমান শব্দটি ‘আমনুন’ থেকে এসেছে। আমনুনের অর্থ হচ্ছে আত্মার প্রশান্তি ও নির্ভীকতা লাভ, যা নিরাপত্তা দেওয়া ও আশঙ্কামুক্ত করা অর্থে ব্যবহার করা হয়। এই আমনুন ধাতুর ক্রিয়ারূপই হলো  ইমান। ইমানের আভিধানিক অর্থ– আন্তরিক বিশ্বাস। মহানবী (সা.) আল্লাহর পক্ষ থেকে যা নিয়ে এসেছেন তার ওপর আন্তরিক বিশ্বাস স্থাপন করার নাম  ইমান। ইমান মূলত মূল, শাখাসহ বিষয়ের প্রতি হৃদয়ে বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি ও কর্মে বাস্তবায়নের সমন্বিত নাম। তবে শরিয়া দৃষ্টিকোণ থেকে পাঁচটি বিষয়ের…
আরও বিস্তারিত!
রমজান নিয়ে আহমাদুল্লাহর স্ট্যাটাস

রমজান নিয়ে আহমাদুল্লাহর স্ট্যাটাস

আলোচিত ইসলামিক বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ রমজান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। শনিবার (০১ মার্চ) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রামজান নিয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, নতুন চাঁদের রোশনিতে শুরু হলো ইবাদতের বসন্তকাল। পাপের অন্ধকার মুছে পুণ্যের আলোয় জীবন ভরিয়ে তোলার আরও একটি সুযোগ এলো আমাদের সামনে। আহলান, সাহলান শাহরু রমাদান। তিনি আরও লেখেন, এ মাসের যাবতীয় কল্যাণ-বৃষ্টিতে সিক্ত হোক আমাদের শুষ্ক উঠোন- এই পবিত্র ক্ষণে মহান রবের কাছে সেই প্রার্থনা করি। ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে তিনি লেখেন, হে আল্লাহ, এই চাঁদকে আমাদের জন্য কল্যাণ, ঈমান, নিরাপত্তা ও ইসলামের সাথে উদিত করুন। (হে চাঁদ)…
আরও বিস্তারিত!
ইসলামের আলো

ইসলামের আলো

ইসলাম মানুষের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ জীবনে সৌন্দর্যচর্চা এবং সর্বাবস্থায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর অটল থাকার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে। অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপনে অভ্যস্ত ব্যক্তির জীবনধারণের অনাকাঙ্ক্ষিত এ অসুন্দর অভ্যাসকে কেউই সৌন্দর্য বা রুচিবোধ বলবে না। সবাই এ রকম লোকদের ভর্ৎসনা করবে, ঘৃণা করবে, উপেক্ষা করবে। তাওবা অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে আর পবিত্রতা ব্যক্তির বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, মানুষকে দেহমনে পরিশুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন করে সর্বোপরি ব্যক্তিকে আল্লাহর পরম প্রিয় করে তোলে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীকে ভালোবাসেন এবং যারা পবিত্র থাকেন তাহাদেরও ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা: ২২২)। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘আল্লাহ সুন্দর। তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন।’ (মুসলিম: ৯১)। মানুষের আচার-ব্যবহার, চালচলনে, কথাবার্তায় সৌন্দর্য…
আরও বিস্তারিত!
সকালে যে আমল করলে সারাদিন ভালো কাটবে

সকালে যে আমল করলে সারাদিন ভালো কাটবে

সকাল-সন্ধ্যার কিছু আমল ও জিকির আছে। যেগুলো করলে সারাদিন বা সারারাত নিরাপদে রাখেন আল্লাহ। কল্যাণকর ও বরকতময় করেন পুরো সময়। আমলগুলো জেনে রাখা উত্তম। পাঠকদের জন্য সেই আমলগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো- আবু হুরায়রা (রা.) নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি সকাল বেলা বলতেন- اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا، وَبِكَ أَمْسَيْنَا، وَبِكَ نَحْيَا، وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ. উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বিকা আসবাহ্‌না ওয়াবিকা আমসাইনা ওয়াবিকা নাহ্‌ইয়া, ওয়াবিকা নামূতু ওয়া ইলাইকান নুশূর। অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার অনুগ্রহে আমরা সকালে উপনীত হয়েছি। আপনার অনুগ্রহে আমরা বিকালে উপনীত হয়েছি। আপনার দ্বারা আমরা বেঁচে থাকি। আপনার দ্বারা আমরা মৃত্যুবরণ করি। আপনার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন।…
আরও বিস্তারিত!
আরাফার রোজা কয়টি?

আরাফার রোজা কয়টি?

ধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে ঈদের তারিখ ঘোষণা করেছে এসব দেশ। এ মাসটির সঙ্গে জড়িত ইসলামের অন্যতম বিধান হজ। আর হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান আরাফায় অবস্থান। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এদিন রোজা পালন করেছেন। এ বিষয়ে রোজা পালনে ইসলামের নির্দেশনাও রয়েছে। আরাফা মূলত আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো চেনা, জানা, পরিচয় হওয়া। দুনিয়ায় প্রেরণের পর আরাফার দিনে হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) পরস্পরের দেখা হয়। এ দিনটি তওবা করা বা ক্ষমা প্রার্থনার দিবস। ইসলামের ঐতিহাসিক এ ময়দান হাশরের দিনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। দিবসটিতে মহান আল্লাহ তার ক্ষমা, রহমত ও দয়া উপস্থাপন করেন। জিলহজ মাসের…
আরও বিস্তারিত!
bn_BD