ইসলাম

গোসলের পর অজু করতে হবে কি না, যা আছে কোরআন হাদিসে

গোসলের পর অজু করতে হবে কি না, যা আছে কোরআন হাদিসে

ইসলামে দৈহিক পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হলো অজু ও গোসল। পবিত্রতা ছাড়া নামাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফরজ আদায় করা যায় না। এখন প্রশ্ন হলো, সব শর্ত মেনে গোসল করার পর নামাজের জন্য কি নতুন করে অজু করতে হবে? উত্তর হলো, না। পবিত্রতা অর্জনের জন্য ফরজ ও সুন্নত মতে গোসল করার পরে নতুন করে আর অজু করার প্রয়োজন নেই। হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) গোসলের পর অজু করতেন না। হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) গোসলের পর নতুন করে অজু করতেন না। (সুনানে নাসায়ি)। তিরমিজি ও নাসায়ি শরিফের আরেকটি হাদিস থেকে জানা যায়, গোসলের আগে রাসুল (সা.) অজু করে নিতেন।…
আরও বিস্তারিত!
নবীজির বিদায় হজের ভাষণে ছিল বিশ্ব মানবতার দিকনির্দেশনা

নবীজির বিদায় হজের ভাষণে ছিল বিশ্ব মানবতার দিকনির্দেশনা

বিদায় হজে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত জনসমুদ্রের উদ্দেশ্যে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এক যুগান্তকারী ভাষণ দেন। এ ভাষণে বিশ্ব মানবতার সব কিছুর দিকনির্দেশনা ছিল। মুসলমানরা যাতে তাদের দ্বীন থেকে বিচ্যুত না হয় সেজন্য ছিল বিশেষ দিক নির্দেশনা।  মহানবীর (সা.) বিদায় হজ ও গাদিরে খুম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।  শুক্রবার বিকালে রাজশাহীর নগর ভবনের পশ্চিমে গ্রেটার রোডে অবস্থিত শাহ ডাইন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রাজাভি।  ইমামিয়া জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের রাজশাহী শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান আলোচক  ছিলেন, ঢাকাস্থ রাসূল-এ-আকরাম ইসলামিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা বিভাগের প্রধান মোহাম্মাদ আলী মোর্তজা।  বক্তারা…
আরও বিস্তারিত!
মানবাধিকারের দলিল বিদায় হজের ভাষণ

মানবাধিকারের দলিল বিদায় হজের ভাষণ

বিশ্বমানবতার জন্য শান্তি-মুক্তি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মাদ মোস্তফা (সা.)। মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তার তুলনা তিনি নিজেই। তিনি শেষ নবি। আসমানি শেষ গ্রন্থ কুরআনের প্রচারে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে তিনি ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবনবিধান হিসাবে বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করে গেছেন। তার দেখানো পথে রয়েছে আজকের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ পৃথিবীর জন্য প্রতিশেধক। শান্তি ও মুক্তির মহৌষধ। বিদায় হজের ভাষণে তিনি তার আগমনের মূল উদ্দেশ্য পূর্ণাঙ্গরূপে মানুষের কাছে তুলে ধরেন। ঘোষণা করেন মানবতার মুক্তির ইশতেহার। দশম হিজরি রাসূল (সা.) সপরিবারে পবিত্র হজের লক্ষ্যে মদিনা থেকে মক্কার উদ্দেশে রওনা করেন।…
আরও বিস্তারিত!
হজরত মুহাম্মদ সা. মানবতার বন্ধু

হজরত মুহাম্মদ সা. মানবতার বন্ধু

সৃষ্টিকুলের জন্য আল্লাহতায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত হজরত মুহাম্মাদ (সা.)। রাসূল (সা.)-এর আগমনের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার সৃষ্টিগুলো পেয়েছে পূর্ণতা। জগদ্বাসী পেয়েছে তাদের মুক্তির দিশা। মহান আল্লাহ রাসূল (সা.)কে এমন সময় পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন, যখন মনুষ্যত্ব হারিয়ে মানুষ মেতে উঠেছিল পশুত্বে। মানবতার মোকাদ্দমা চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় ছিল আল্লাহর আদালতে। ঠিক তখনই প্রেরিত হলেন মুহাম্মাদ (সা.)। ঘোষণা এলো ‘হে নবি! আপনাকে আমি জগৎগুলোর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ মানব হৃদয়ের যে সহজাত আবেগ মানুষকে সর্বদা কল্যাণের পথে অনুপ্রাণিত করেছে এবং ইতিহাসের সব অধ্যায়ে অবিস্মরণীয় সব কীর্তি ও কর্মের গৌরব দান করেছে, তার নাম প্রেম ও ভালোবাসা। কিন্তু বহুদিন থেকে মানব হৃদয়ে প্রেম-ভালোবাসার স্রোতধারা শুকিয়ে গিয়েছিল, কিংবা…
আরও বিস্তারিত!
হজ আত্মশুদ্ধির মহাসফর

হজ আত্মশুদ্ধির মহাসফর

মহান আল্লাহপাকের পবিত্র ঘর বায়তুল্লাহ এবং বিশ্বনবী (সা.)-এর পবিত্র রওজা মুবারক জিয়ারতের সাধ প্রতিটি মুসলমানেরই হৃদয়ে জাগে, তবে আল্লাহপাক যেহেতু বান্দার অন্তর দেখেন তাই তিনি অন্তকরণের হজকেই গ্রহণ করেন। যাদের অন্তর অপবিত্র তাদের সঙ্গে আল্লাহপাকের যেমন কোনো সম্পর্ক নেই তেমনি তারা কুরআনের শিক্ষার ওপর আমলের ক্ষেত্রেও থাকে উদাসীন। যেভাবে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘আসলে তাদের হৃদয় এ কুরআন থেকে উদাসীন। আর এ ছাড়া তাদের আরও অনেক মন্দ কর্ম রয়েছে, যা তারা করে চলেছে’ (সূরা আল মোমিনুন, আয়াত : ৬৩)। অপরদিকে যারা মুমিন তাদের অন্তর থাকে পবিত্র আর এদের সম্পর্কেই আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন, ‘হে শান্তিপ্রাপ্ত আত্মা! তুমি তোমার প্রভু প্রতিপালকের…
আরও বিস্তারিত!
ইসলামে জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব

ইসলামে জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব

জাতীয় ঐক্য কোনো বিলাসিতা নয়, এটি জাতির অস্তিত্ব রক্ষার পূর্বশর্ত। একটি জাতি যদি বিভক্ত হয়ে পড়ে, তবে তার শক্তি নিঃশেষ হতে শুরু করে। আত্মপরিচয় বিলুপ্ত হয় এবং একসময় রাষ্ট্রব্যবস্থাও ধসে পড়ে। সুতরাং জাতীয় ঐক্য আলোকোজ্জ্বল এক শক্তির নাম, যা বিচ্ছিন্ন হৃদয়গুলোকে এক সুতায় গেঁথে দেয়, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় অবিচল ছায়া হয়ে দাঁড়ায়। ইসলামের মৌলিক দর্শনে জাতীয় ঐক্য শুধু রাজনৈতিক প্রয়োজনে নয়, বরং তা ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক দায়িত্ব হিসেবেও বিবেচিত। কারণ ইসলাম শুধু ব্যক্তির নৈতিকতা কিংবা ইবাদতের পথ প্রদর্শক নয়, বরং সৌহার্দ্যপূর্ণ সামজিক কাঠামো গড়ারও বিস্তৃত দিকনির্দেশনা। এই নির্দেশনার অন্যতম স্তম্ভ হলো জাতীয় ঐক্য।পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা সবাই মিলে…
আরও বিস্তারিত!
বিবাহিত মেয়ের ওপর মা-বাবার হক

বিবাহিত মেয়ের ওপর মা-বাবার হক

কোরআন ও হাদিসে মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা ছেলেমেয়ে সবার জন্য প্রযোজ্য। কেননা ‘সন্তান’ বলতে ‘ছেলেমেয়ে’ উভয়কেই বোঝানো হয়েছে। আর মা-বাবার জন্য সামর্থ্য অনুপাতে খরচ করা, তাঁদের খিদমত করা এক প্রকার ‘সদাচরণ’।  সুতরাং মা-বাবা যদি এমন দরিদ্র হয় যে তাঁরা নিজের মালিকানার সম্পদে চলতে অক্ষম এবং অন্যদিকে মেয়ে যদি সামর্থ্যবান ও বিত্তবান হয়, তাহলে তার ওপর মা-বাবার ভরণ-পোষণ ওয়াজিব। এ ক্ষেত্রে যদি তার সচ্ছল অন্য ভাইবোন থাকে, তবে তাদের ওপরও ভরণ-পোষণ সমানভাবে ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অভাবগ্রস্ত মা-বাবার খরচ না দিলে গুনাহগার হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/৫৬৪)। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমার রব আদেশ করেছেন যে তাঁকে…
আরও বিস্তারিত!
হজের সময় ঋতু শুরু হলে

হজের সময় ঋতু শুরু হলে

হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ, মুসলিম জীবনের ইবাদতের ভিত্তি। কিন্তু হজের মধ্যেই যদি কারও ঋতুস্রাব শুরু হয়? এটি যেকোনো নারীর একটি সাধারণ অভিজ্ঞতা। হজের সময় ঋতুস্রাব শুরু হলেও কীভাবে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা সম্ভব, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করব। নারীত্ব এবং হজ হজের সময় ঋতুস্রাব হতে পারে, এমন একটি সম্ভাবনা হজের পরিকল্পনা করার সময়ই নারীদের ভেবে রাখা দরকার। অনেকে হজ বা ওমরার জন্য ঋতুস্রাব দমনের জন্য ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ পিল (ওসিপি) গ্রহণ করেন। এটা নিয়ে নানা মতভেদ আছে। সাধারণ রীতি হলো, কোনো কিছু নিষিদ্ধ না হলে তা জায়েজ। এ ধরনের পিল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলে তা নিষিদ্ধ। নইলে এটি গ্রহণ করা যায়।…
আরও বিস্তারিত!

মদিনার প্রাণকেন্দ্র মসজিদে নববি

তিনটি মসজিদ ভ্রমণ করলে ফজিলত পাওয়া যায়। এর প্রথমটি হলো মক্কা মুকাররমা বা কাবা শরিফ (সৌদি আরব), দ্বিতীয়টি মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মোকাদ্দাস—ইসলামের প্রথম কিবলা মসজিদ (ফিলিস্তিন), তৃতীয়টি মদিনা আল মুনাওয়ারার মসজিদে নববি। মদিনা নবী করিম (সা.)-এর শহর, একে আরবিতে বলা হয় মদিনাতুন নবী। আর মদিনার প্রাণকেন্দ্র হলো ‘মসজিদে নববি’। রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনার বরকতের জন্য দোয়া করেছেন এবং একে সম্মানিত ঘোষণা করেছেন। মসজিদে নববিতে নামাজ পড়ায় ফজিলত বেশি। মসজিদে নববিতে নামাজ আদায় ও দোয়া করার উদ্দেশ্যে মদিনায় গমন এবং সালাত আদায় করে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা ও সালাম পৌঁছানোর ইচ্ছা থাকে প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানের। জিয়ারত ও নামাজ আদায়ের…
আরও বিস্তারিত!
মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের যেসব ভুল হয়

মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের যেসব ভুল হয়

হজ ও ওমরাহ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। হজ ফরজ এবং ওমরাহ সুন্নত হলেও উভয়ই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর জন্য হজ ও ওমরাহ সম্পন্ন করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৯৬) তবে অজ্ঞতা বা ভুল ধারণার কারণে অনেক হাজি হজ-ওমরাহর সময় এমন কিছু ভুল করে ফেলেন, যা তাঁদের ইবাদতের পূর্ণতা বা গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করতে পারে। এই প্রবন্ধে আমরা কিছু ভুল নিয়ে আলোচনা করব।১. প্রস্তুতির অভাব অনেক হাজি হজ বা ওমরাহর নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জানার আগেই যাত্রা শুরু করেন। ফলে তাঁরা ইহরামের নিয়ম, হজের ফরজ-ওয়াজিব, এবং ওমরাহর সুন্নত সম্পর্কে অজ্ঞ থাকেন। এ জন্য হজে যাওয়ার আগে স্থানীয় আলেম বা হজ…
আরও বিস্তারিত!
bn_BD