ইসলাম

সাহাবিরা যেভাবে মহানবী (সা.)-কে মানতেন

সাহাবিরা যেভাবে মহানবী (সা.)-কে মানতেন

নবীজি(সা.) র আনুগত্য প্রদর্শনে সাহাবিগণ অনন্য সব দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। প্রথমত তাঁর আনুগত্য মানে আল্লাহর আদেশ পালন। দ্বিতীয়ত তাদের অন্তরে নবীজির প্রতি যে ভালোবাসা ছিল, সেই ভালোবাসার আহ্বানে তারা সাড়া দিয়েছেন। মানুষ তার সহজে মানে, যাকে সে ভালোবাসে। আমরা মাত্র তিনটি উদাহরণ উপস্থাপন করছি। ১. জুমার দিন মসজিদের মিম্বরে উঠে নবীজি (সা.) বললেন, ‘বসো তোমরা।’ আবদুলাহ ইবনে মাসউদ (রা.) শোনামাত্র মসজিদের দরজায় বসে গেলেন। তিনি ‘বসো’ শব্দটি শুনে নিজেকে আর এক পা এগোনোর অনুমতি দেননি; যেখানে ছিলেন, সেখানেই বসে গেলেন। নবীজি তাকে দেখলেন যে, তিনি দরজার মুখে বসে গেছেন। বললেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, এগিয়ে এসো।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১,০৯১)…
আরও বিস্তারিত!
ছয়টি রোজায় পূর্ণ হবে এক বছরের রোজা

ছয়টি রোজায় পূর্ণ হবে এক বছরের রোজা

আরবি মাসগুলোর মধ্যে শাওয়াল মাস বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। এ মাসের রয়েছে বহুবিধ তাৎপর্য। শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিতর বা রমজানের ঈদ। পয়লা শাওয়ালে সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা আদায় করা এবং ঈদের ওয়াজিব নামাজ পড়া হয়। এই মাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে হজের, এর সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে ঈদের; এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রোজা ও রমজানের এবং এর সঙ্গে যোগ রয়েছে সদকা ও জাকাতের। আরবি চান্দ্রবর্ষের দশম মাস শাওয়াল। এটি হজের তিন মাস (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ) এর প্রথম মাস। এ মাসের ৭ তারিখে তৃতীয় হিজরি সনে (২৩ মার্চ ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দে) ওহুদ যুদ্ধ বিজয় হয়েছিল। বর্ণিত আছে, ‘আল্লাহ তাআলা শাওয়াল মাসের ছয় দিনে আসমান…
আরও বিস্তারিত!
ইবনে বতুতার হজ সফর

ইবনে বতুতার হজ সফর

মরক্কোর বিখ্যাত পর্যটক আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে বতুতা মরক্কোর বিখ্যাত পর্যটক আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে বতুতা ২১ বছর বয়সে হজ করার জন্য মক্কার উদ্দেশে রওনা দেন জন্মভূমি তানজিয়ার থেকে। সেটা আজ থেকে ৭০০ বছর আগের কথা। ১৩২৫ সালের জুন মাসে সফর শুরু করেন হেঁটে। ফলে প্রায় এক বছর পর ১৩২৬ সালের নভেম্বর মাসে তিনি তাঁর প্রথম হজ সম্পন্ন করেন। হজ সেরে তিনি মধ্য এশিয়ার দিকে যাত্রা শুরু করেন। মোট আড়াই দশকের পথ পরিক্রমায় তিনি ১ লাখ ২০ হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করেছেন। ভ্রমণকালে তিনি বাংলাদেশেও এসেছিলেন। তাঁর সফরনামা ‘রিহলা’য় উঠে এসেছে বিশ্বভ্রমণের বৈচিত্র্যময় বিবরণ। ইবনে বতুতা অন্তত তিনবার, আরেক বিবরণ অনুসারে…
আরও বিস্তারিত!
মা-বোনদের জন্য দুটি কথা

মা-বোনদের জন্য দুটি কথা

হজে গেলে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ আপনাকে জামাতে পড়তে হবে। তাই পরিচিত কারও কাছ থেকে জামাতে নামাজ পড়ার নিয়মটি জেনে নিন। ●      হজ বা ওমরাহ করতে গেলে অনেক দোয়া, দরুদ, সুরা, আয়াত মুখস্থ করতে হবে, তা নয়। কাজেই এসব দোয়া মুখস্থ করতে গিয়ে শুধু শুধু চিন্তা করবেন না। বই দেখে দেখে সবকিছু পড়া যাবে। শুধু নিয়মগুলো জেনে নেবেন কোথায় কী করতে হবে। ●      নারীদের হজে যেতে হলে মাহরামের প্রয়োজন হয়। ●      নারীরা ইহরাম হিসেবে সেলাই করা যেকোনো পোশাক পরতে পারেন। ●      ইহরাম অবস্থায় নারীরা মুখমণ্ডল আবৃত রাখবেন না। ●      ইহরাম অবস্থায় নারীরা গয়না পরতে পারবেন। জুতা…
আরও বিস্তারিত!
কেমন ছিল নবীজির কুরবানি

কেমন ছিল নবীজির কুরবানি

এটি ‘শাআইরে ইসলাম’ তথা ইসলামের প্রতীকী বিধানাবলির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এর মাধ্যমে ‘শাআইরে ইসলামের’ বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এছাড়া গরিব-দুঃখী ও পাড়া-প্রতিবেশীর আপ্যায়নের ব্যবস্থা হয়। আল্লাহ ও তার রাসুলের শর্তহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে কুরবানিতে। নবীজিকে আল্লাহতায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন- আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কুরবানি আদায় করুন।  (সুরা কাওসার:২) অন্য আয়াতে এসেছে- (হে রাসুল!) আপনি বলুন, আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ রাব্বুল আলামীনের জন্য উৎসর্গিত। (সুরা আনআম: ১৬২) হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- কুরবানি করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না…
আরও বিস্তারিত!
প্রাণের শহর প্রেমের মদিনা

প্রাণের শহর প্রেমের মদিনা

মুমিন হৃদয়ের গভীরতম ভালোবাসার প্রতীক মদিনা। এখানে শুয়ে আছেন প্রিয় নবী মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ (সা.)। তার কারণেই এ শহর হয়ে উঠেছে প্রেমের মদিনা, প্রাণের মদিনা। মদিনার প্রতিটি অলিগলি, প্রতিটি ধূলিকণা যেন নবীর স্মৃতিতে পূর্ণ। এ শহরের বাতাসে মিশে আছে নবীজির সুবাস। যা মুমিনদের হৃদয়ে এনে দেয় প্রশান্তি ও উচ্ছ্বাস। কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় লিখেছেন- ‘ওহে মোর সোনার মদিনা, তুমি আমার খোদার কাছে সারা জীবনের পাওনা। আর কিছু পাইবা না পাই, তোমার ধুলা চাই, তোমার ধুলা গায়ে মেখে পাপ মুছিতে চাই।’ মদিনা আমাদের আত্মার প্রশান্তি, আমাদের ভালোবাসার কেন্দ্র। আল্লাহতায়ালা কুরআনুল কারিমে এ পবিত্র ভূমিকে অসংখ্য নামে সম্বোধন করেছেন। ‘আরদুল্লাহ’ অর্থাৎ…
আরও বিস্তারিত!
bn_BD