কোরআন ও হাদিস

‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিয়্যাতের উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তাঁর নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সস্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সস্তুষ্টির জন্যই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার স্বার্থ প্রাপ্তির জন্য অথবা কোন মহিলাকে বিবাহের জন্য হিজরত করবে সে হিজরত তার নিয়্যাত অনুসারেই হবে যে নিয়্যাতে সে হিজরত করেছে। [১]
আরও বিস্তারিত!
إِيْمَانِ (ঈমা-ন)

إِيْمَانِ (ঈমা-ন)

এর শাব্দিক অর্থ বিশ্বাস স্থাপন করা, সত্যায়ন করা ইত্যাদি। এর শার‘ঈ অর্থ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। হানাফীদের মতে : নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বীনের অত্যাবশ্যকীয় বিস্তারিত এবং সংক্ষিপ্ত যে বিধানাবলী নিয়ে এসেছেন সেগুলোর ক্ষেত্রে কোন দলীল না থাকলেও চূড়ান্তভাবে তাকে সত্যায়ন করা। ঈমানটি তাদের নিকট যৌগিক কোন বিষয় নয় বরং এটি (بَسِيْطٌ) বাসীত্ব (একক) যা পরিমাণের দৃষ্টিকোণ থেকে কম-বেশি গ্রহণ করে না। (অর্থাৎ- ঈমান কোন সৎকাজের মাধ্যমে বৃদ্ধি পায় না এবং পাপ কাজের মাধ্যমে হ্রাস পায় না)। মুরজিয়াহ্ সম্প্রদায়ের মতে : ঈমান হলো শুধুমাত্র বিশ্বাস স্থাপন করা। জিহবার স্বীকৃতি ঈমানের কোন রুকনও না, শর্তও না। ফলে হানাফীদের মতো তারাও ‘আমালকে ঈমানের…
আরও বিস্তারিত!
নতুন বছরে মুমিনের পরিকল্পনা যেমন হবে

নতুন বছরে মুমিনের পরিকল্পনা যেমন হবে

একটি সুন্দর পরিকল্পনাই পারে আপনার জীবনকে সফল করতে। জীবন থেকে একটি বছর প্রায় শেষ হয়ে নতুন বছর শুরু হচ্ছে। আগত বছরকে ঘিরে একজন মুমিনের পরিকল্পনা কেমন হবে, কোন বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা উচিত কিংবা কোন কাজ গুলো বর্জন করা আবশ্যক ইত্যাদি পরিকল্পনা করে সাজানোই একজন সফলতাকামী মুমিনের কর্তব্য।  এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তুমি যা কিছু পরিকল্পনা করবে,তার সাফল্য আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।( সূরা আল-ইনশিরাহ,আয়াত:১১)  রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর নাম স্মরণ করে এমন ভাবে পরিকল্পনা করবে, যেন তোমরা জানো যে তোমরা একদিন মরে যাবে এবং আখিরাতের জন্য প্রস্তুত নিবে। (আবু দাউদ,হাদিস:২৮৫৬) ১. কুরআন হাদিসে থেকে…
আরও বিস্তারিত!
বৃষ্টি নিয়ে কুরআন-হাদিসে যা বলা হয়েছে

বৃষ্টি নিয়ে কুরআন-হাদিসে যা বলা হয়েছে

গ্রীষ্মের ঝাঁঝালো দাবদাহের পরে বৃষ্টির হিম শীতল ঠান্ডা কার না ভালো লাগে। বৃষ্টি উত্তপ্ত ধরণিতে বুলিয়ে দেয় স্বস্তির পরশ। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, ‘তুমি পৃথিবীকে নিষ্প্রাণ দেখতে পাও। এরপর আমি যখন এর ওপর পানি বর্ষণ করি, তখন তা সক্রিয় হয়ে ওঠে ও ফেঁপে ফুলে ওঠে এবং প্রত্যেক প্রকার উদ্ভিদের সবুজ শ্যামল শোভামণ্ডিত জোড়া উৎপন্ন করে’ (সূরা হজ, আয়াত : ৫)। কবির কবিতা, লেখকের গল্প, উপন্যাসিকের উপন্যাসে বৃষ্টিকে উপজীব্য করে প্রচুর লেখা আমাদের সামনে আছে। বৃষ্টির প্রভাব প্রতিটি হৃদয়ে পড়েছে কম আর বেশি। সিরাতের পাতায় চোখ বুলালে দেখতে পাই আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর জীবনেও রয়েছে বৃষ্টির প্রভাব। আল্লাহর রাসূল (সা.)ও বৃষ্টি…
আরও বিস্তারিত!
কুরআন-হাদিসের আলোকে মালিক শ্রমিক সম্পর্ক

কুরআন-হাদিসের আলোকে মালিক শ্রমিক সম্পর্ক

আল্লাহ মানুষকে তৈরি করেছেন শ্রমজীবী হিসাবে। মানুষ কাজ করে নিজেদের জন্য হালাল জীবিকা নির্বাহ করবে এটাই স্বাভাবিক। আল্লাহতায়ালা কুরআন মাজিদে ঘোষণা করেন, যখন সালাত শেষ হবে, তখন তোমরা জীবিকা নির্বাহের জন্য পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো আর আল্লাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধান কর এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফল হতে পার। (সূরা জুমুআ, আয়াত-১০)। অত্র আয়াতে আল্লাহ ফরজ নামাজ আদায়ের পর রিজিকের সন্ধানে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের মনে রাখতে হবে, শ্রমিক এবং মালিক দুজনই মানুষ। আল্লাহতায়ালা বলেন, হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এক আত্মা থেকে। আর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন তার স্ত্রীকে এবং…
আরও বিস্তারিত!
নবীজির বিদায় হজের ভাষণে ছিল বিশ্ব মানবতার দিকনির্দেশনা

নবীজির বিদায় হজের ভাষণে ছিল বিশ্ব মানবতার দিকনির্দেশনা

বিদায় হজে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত জনসমুদ্রের উদ্দেশ্যে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এক যুগান্তকারী ভাষণ দেন। এ ভাষণে বিশ্ব মানবতার সব কিছুর দিকনির্দেশনা ছিল। মুসলমানরা যাতে তাদের দ্বীন থেকে বিচ্যুত না হয় সেজন্য ছিল বিশেষ দিক নির্দেশনা।  মহানবীর (সা.) বিদায় হজ ও গাদিরে খুম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।  শুক্রবার বিকালে রাজশাহীর নগর ভবনের পশ্চিমে গ্রেটার রোডে অবস্থিত শাহ ডাইন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রাজাভি।  ইমামিয়া জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের রাজশাহী শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান আলোচক  ছিলেন, ঢাকাস্থ রাসূল-এ-আকরাম ইসলামিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা বিভাগের প্রধান মোহাম্মাদ আলী মোর্তজা।  বক্তারা…
আরও বিস্তারিত!
হজরত মুহাম্মদ সা. মানবতার বন্ধু

হজরত মুহাম্মদ সা. মানবতার বন্ধু

সৃষ্টিকুলের জন্য আল্লাহতায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত হজরত মুহাম্মাদ (সা.)। রাসূল (সা.)-এর আগমনের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার সৃষ্টিগুলো পেয়েছে পূর্ণতা। জগদ্বাসী পেয়েছে তাদের মুক্তির দিশা। মহান আল্লাহ রাসূল (সা.)কে এমন সময় পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন, যখন মনুষ্যত্ব হারিয়ে মানুষ মেতে উঠেছিল পশুত্বে। মানবতার মোকাদ্দমা চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় ছিল আল্লাহর আদালতে। ঠিক তখনই প্রেরিত হলেন মুহাম্মাদ (সা.)। ঘোষণা এলো ‘হে নবি! আপনাকে আমি জগৎগুলোর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ মানব হৃদয়ের যে সহজাত আবেগ মানুষকে সর্বদা কল্যাণের পথে অনুপ্রাণিত করেছে এবং ইতিহাসের সব অধ্যায়ে অবিস্মরণীয় সব কীর্তি ও কর্মের গৌরব দান করেছে, তার নাম প্রেম ও ভালোবাসা। কিন্তু বহুদিন থেকে মানব হৃদয়ে প্রেম-ভালোবাসার স্রোতধারা শুকিয়ে গিয়েছিল, কিংবা…
আরও বিস্তারিত!
জিলহজের ফজিলতপূর্ণ আমল রোজা

জিলহজের ফজিলতপূর্ণ আমল রোজা

হিজরি ক্যালেন্ডারের সর্বশেষ মাস জিলহজ। হজের তিনটি মাসের মধ্যে জিলহজ প্রধানতম। এ মাসের ৮-১৩ তারিখ এই ছয় দিনেই হজের মূল কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়। এ মাসের প্রথম দশক বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। কোরআনে আল্লাহ জিলহজের দশ রাতের শপথ করেছেন। আল্লাহ বলেন, وَ الۡفَجۡرِوَ لَیَالٍ عَشۡرٍ وَّ الشَّفۡعِ وَ الۡوَتۡرِশপথ ভোরবেলার, শপথ দশ রাতের, শপথ জোড় ও বেজোড়ের। (সুরা ফাজর: ১-৩) জাবের (রা.) আনহু বৰ্ণনা করেন যে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এ আয়াতে দশ হচ্ছে জিলহজ মাসের দশদিন, বেজোড় হচ্ছে আরাফার দিন আর জোড় হচ্ছে কোরবানির দিন। (মুসনাদে আহমদ: ৩/৩২৭) এ দশ দিন যে কোনো নফল আমলেরই সওয়াব বেড়ে যায়।…
আরও বিস্তারিত!
সাহাবিরা যেভাবে মহানবী (সা.)-কে মানতেন

সাহাবিরা যেভাবে মহানবী (সা.)-কে মানতেন

নবীজি(সা.) র আনুগত্য প্রদর্শনে সাহাবিগণ অনন্য সব দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। প্রথমত তাঁর আনুগত্য মানে আল্লাহর আদেশ পালন। দ্বিতীয়ত তাদের অন্তরে নবীজির প্রতি যে ভালোবাসা ছিল, সেই ভালোবাসার আহ্বানে তারা সাড়া দিয়েছেন। মানুষ তার সহজে মানে, যাকে সে ভালোবাসে। আমরা মাত্র তিনটি উদাহরণ উপস্থাপন করছি। ১. জুমার দিন মসজিদের মিম্বরে উঠে নবীজি (সা.) বললেন, ‘বসো তোমরা।’ আবদুলাহ ইবনে মাসউদ (রা.) শোনামাত্র মসজিদের দরজায় বসে গেলেন। তিনি ‘বসো’ শব্দটি শুনে নিজেকে আর এক পা এগোনোর অনুমতি দেননি; যেখানে ছিলেন, সেখানেই বসে গেলেন। নবীজি তাকে দেখলেন যে, তিনি দরজার মুখে বসে গেছেন। বললেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, এগিয়ে এসো।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১,০৯১)…
আরও বিস্তারিত!
bn_BD