কোরআন ও হাদিস

নামাজে যে ১০টি ভুল অনেকে করে থাকেন

নামাজে যে ১০টি ভুল অনেকে করে থাকেন

নামাজ একটি দৈনিক ইবাদত, প্রতিদিন পাঁচবার পড়তে হয়। এরপরও আমাদের অজান্তে নামাজে এমন কতগুলো ভুল হয়ে যায়, যা নামাজের গুণগত মান ও আধ্যাত্মিক উপকার কমিয়ে দেয়। নামাজে আন্তরিকতা বাড়াতে এ ভুলগুলো চিহ্নিত করে সংশোধন করা গুরুত্বপূর্ণ। নিচে নামাজে সাধারণ ১০টি ভুল এবং সেগুলো সংশোধনের উপায় আলোচনা করা হলো। ১. ভুল নিয়ত ভুল: অনেকে সঠিক নিয়ত ছাড়া নামাজ শুরু করেন। কখনো মনে মনে নিয়ত না করেই নামাজে দাঁড়ান। সংশোধন: নামাজ শুরুর আগে হৃদয়ে স্পষ্ট নিয়ত করুন যে আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নামাজ পড়ছেন। নিয়ত মুখে বলার দরকার নেই, তবে মনে সচেতনভাবে নির্ধারণ করতে হবে। নবী (সা.) বলেছেন, ‘আমলে মূল্য নির্ভর করে…
আরও বিস্তারিত!
জাকাত ফিতরা সদকা বিতরণ পদ্ধতি

জাকাত ফিতরা সদকা বিতরণ পদ্ধতি

বাহ্যিক ইবাদত তিনভাবে হয়ে থাকে—মৌখিক, শারীরিক ও আর্থিক। জাকাত একটি নির্ধারিত আর্থিক ফরজ ইবাদত। জাকাত করুণার দান নয়, জাকাত গরিবের প্রাপ্য অধিকার। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুত্তাকিগণ জান্নাতে ফোয়ারার নিকটে থাকবে। তারা গ্রহণ করবে যা তাদের পালনকর্তা তাদের দেবেন। নিশ্চয় ইতিপূর্বে তারা ছিল সৎকর্মপরায়ণ, তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রা যেত, রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমাপ্রার্থনা করত এবং তাদের ধনসম্পদে ছিল প্রার্থী ও বঞ্চিতের হক বা ন্যায্য অধিকার।’ (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ১৫-১৯) সঠিকভাবে জাকাত প্রদান করলেই সমাজ, দেশ, জাতি ও রাষ্ট্র এবং বিশ্ব দারিদ্র্যমুক্ত হবে। জাকাত সম্পদের প্রবাহ তৈরি করে ও দারিদ্র্য বিমোচন করে। আল্লাহ বলেন, ‘যাতে তোমাদের বিত্তবানদের মাঝেই শুধু সম্পদ…
আরও বিস্তারিত!
কোরআন কেন আরবি ভাষায়

কোরআন কেন আরবি ভাষায়

পবিত্র কোরআন আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে। এর পেছনে যে গভীর তাৎপর্য রয়েছে, কোরআনের বিভিন্ন আয়াতেই তার ব্যাখ্যা করেছে। মহানবী (সা.)–এর সম্প্রদায়ের ভাষা মহানবী (সা.) আরবের মক্কায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর প্রথম শ্রোতা ছিলেন মক্কা ও তার আশপাশের আরব সম্প্রদায়। তাই তাদের কাছে আল্লাহর বাণী স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোরআন আরবি ভাষাতেই নাজিল হয়। কোরআনে আছে, ‘আমি প্রত্যেক রাসুলকে তার সম্প্রদায়ের ভাষায় পাঠিয়েছি, যাতে সে তাদের কাছে বাণী স্পষ্টভাবে পৌঁছে দিতে পারে।’ (সুরা ইব্রাহিম, আয়াত: ৪) কোরআনের আরেকটি আয়াতে আছে, ‘নিশ্চয়ই আমি এটিকে আরবি কোরআন করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পারো।’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত: ৩) এই আয়াত স্পষ্ট করে, প্রত্যেক নবী তাঁর সম্প্রদায়ের…
আরও বিস্তারিত!
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত।

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত।

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটিঃ মুখে স্বীকার এবং কাজে পরিণত করাই হচ্ছে ঈমান এবং তা বৃদ্ধি পায় ও হ্রাস পায়। [১] আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “যাতে তারা তাদের ঈমানের সঙ্গে ঈমান মজবুত করে নেয়-(সূরা ফাত্‌হ ৪৮/৪); আমরা তাদের সৎ পথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম- (সূরা কাহাফ ১৮/১৩); এবং যারা সৎপথে চলে আল্লাহ তাদের অধিক হিদায়াত দান করেন-(সূরা মারইয়াম ১৯/৭৬); এবং যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ তাদের হিদায়াত বাড়িয়ে দেন এবং তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দেন- (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭/১৭)। যাতে মু’মিনদের ঈমান বেড়ে যায়-(সূরা মুদদাস্‌সির ৭৪/৩১), আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন, এটা তোমাদের মধ্যে কার ঈমান…
আরও বিস্তারিত!
আর স্মরণ করুন, যখন কাফেররা আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আপনাকে বন্দী করার জন্য, বা হত্যা করার অথবা নির্বাসিত করার জন্য। আর তারা ষড়যন্ত্র করে এবং আল্লাহও (তাদের ষড়যন্ত্রের বিপক্ষে) ষড়যন্ত্র করেন; আর আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী।(১)

আর স্মরণ করুন, যখন কাফেররা আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আপনাকে বন্দী করার জন্য, বা হত্যা করার অথবা নির্বাসিত করার জন্য। আর তারা ষড়যন্ত্র করে এবং আল্লাহও (তাদের ষড়যন্ত্রের বিপক্ষে) ষড়যন্ত্র করেন; আর আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী।(১)

হিজরত-পূর্বকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাফের পরিবেষ্টিত ছিলেন এবং তারা তাকে হত্যা কিংবা বন্দী করার ব্যাপারে সলা-পরামর্শ করছিল, তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের এ অপবিত্র হীন চক্রান্তকে ধূলিস্মাৎ করে দেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিরাপদে মদীনায় পৌছে দেন। ঘটনা এই যে, মদীনা থেকে আগত আনসারদের মুসলিম হওয়ার বিষয়টি যখন মক্কায় জানাজানি হয়ে যায়, তখন মক্কার কুরাইশরা চিন্তান্বিত হয়ে পড়ে যে, এ পর্যন্ত তো তার ব্যাপারটি মক্কার ভেতরেই সীমিত ছিল, যেখানে সর্বপ্রকার ক্ষমতাই ছিল আমাদের হাতে। কিন্তু এখন যখন মদীনাতেও ইসলাম বিস্তার লাভ করছে এবং বহু সাহাবী হিজরত করে মদীনায় চলে গেছেন, তখন এদের একটি কেন্দ্র মদীনাতেও স্থাপিত হয়েছে।…
আরও বিস্তারিত!
জিলহজের প্রথম ১০ দিনের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

জিলহজের প্রথম ১০ দিনের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান ও পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম হজ পালনের মাস জিলহজ। এই মাসের প্রথম ১০ দিনের বিশেষ গুরুত্ব ও ও তাৎপর্য রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এই দশকের রাতগুলোর শপথ করেছেন। জিলহজ মাসের মহান্বিত প্রথম দশককে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামি আলোচক আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশেনের চেয়ারম্যান শয়খ আহমাদুল্লাহ। বুধবার (২৮ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই আহ্বান জানান। শয়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, রমজানের পরে ইবাদেতের সবচেয়ে বড় মৌসুম হলো জিলহজের প্রথম দশক। রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে অন্য যে কোনো সময়ের আমলের চেয়ে জিলহজের প্রথম দশকের আমল অধিক প্রিয় (সহিহ বুখারি) তাই আসুন, এই শ্রেষ্ঠ দশককে ইবাদতের সৌরভে ভরিয়ে…
আরও বিস্তারিত!
bn_BD