ছাত্রকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গ্রেফতার মাদ্রাসা শিক্ষক

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাটহাজারীর কনক কমিউনিটি সেন্টারের কাছে আল মারকাজুল কুরআন ইসলামিক একাডেমিতে শিশুটিকে নির্বিচারে মারধর করে মো: ইয়াহিয়া।

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করে।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, যখন তার মা শিশুটিকে দেখতে মাদ্রাসায় যান, কারণ এটি তার জন্মদিন ছিল। সে চলে যাওয়ার সময় ছেলেটি তার মায়ের পিছনে দৌড়ে গেল। এ সময় শিক্ষক তাকে ঘাড় ধরে একটি কক্ষে নিয়ে বেত দিয়ে পিটিয়ে মেঝেতে ফেলে দেন।

একজন পথচারীর তোলা একটি ভিডিও, ক্ষোভের জন্ম দেয়, রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, ঘটনাটি জানার পর বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের সঙ্গে মাদ্রাসায় গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাবা-মাকে জানাই।

একই সঙ্গে হাফেজী মাদরাসা মারকাজুল ইসলামিক একাডেমি থেকে মাওলানা ইয়াহিয়াকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

শিশুটির মা পারভীন আক্তার ও বাবা মো: জয়নাল ইউএনওকে চিঠিতে জানান, এ ঘটনায় তারা মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। তবে শিশুটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রাথমিকভাবে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার অনুরোধ জানান তারা।

শিশুটির বাবা মোঃ জয়নাল জানান, তারা মামলা করতে চান না।

ইউএনও রুহুল আমিন অবশ্য ইয়াহিয়াকে হাটহাজারীর কোনো মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য শিশুটির অভিভাবকদের অনুরোধ করেন।

পরে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে ইয়াহিয়াকে গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন।

মঙ্গলবার ছিল শিশুটির জন্মদিন। শিশুটির মানসিক অবস্থার উন্নতির জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জন্মদিনে উপহার দেওয়া হয়েছে বলে ইউএনও রুহুল আমিন জানিয়েছেন।

By Suleman Miah

Related Posts

en_US