কেমন ছিল নবীজির কুরবানি

এটি ‘শাআইরে ইসলাম’ তথা ইসলামের প্রতীকী বিধানাবলির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এর মাধ্যমে ‘শাআইরে ইসলামের’ বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

এছাড়া গরিব-দুঃখী ও পাড়া-প্রতিবেশীর আপ্যায়নের ব্যবস্থা হয়। আল্লাহ ও তার রাসুলের শর্তহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে কুরবানিতে।

নবীজিকে আল্লাহতায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন- আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কুরবানি আদায় করুন।  (সুরা কাওসার:২)

অন্য আয়াতে এসেছে- (হে রাসুল!) আপনি বলুন, আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ রাব্বুল আলামীনের জন্য উৎসর্গিত। (সুরা আনআম: ১৬২)

হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- কুরবানি করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস ৩১২৩; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ৮২৫৬)

আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বড় শিংবিশিষ্ট সাদা-কালো বর্ণের দুটি নর দুম্বা কুরবানি করতেন এবং তিনি বিসমিল্লাহ, আল্লাহু আকবার বলতেন।

বর্ণনাকারী আরও বলেন, আমি তাকে পশুর ঘাড়ের ডানপাশে পা রেখে নিজ হাতে জবাই করতে দেখেছি। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ১১৯৬০, ১২১৪৭)

আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে অন্য বর্ণনায় আছে- তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাকবির বলতে বলতে নিজ হাতে কুরবানির পশু জবাই করতে দেখেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ১২৪৬৬)

By Suleman Miah

Related Posts

en_US