Suleman Miah

50 Posts
ছয়টি রোজায় পূর্ণ হবে এক বছরের রোজা

ছয়টি রোজায় পূর্ণ হবে এক বছরের রোজা

আরবি মাসগুলোর মধ্যে শাওয়াল মাস বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। এ মাসের রয়েছে বহুবিধ তাৎপর্য। শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিতর বা রমজানের ঈদ। পয়লা শাওয়ালে সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা আদায় করা এবং ঈদের ওয়াজিব নামাজ পড়া হয়। এই মাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে হজের, এর সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে ঈদের; এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রোজা ও রমজানের এবং এর সঙ্গে যোগ রয়েছে সদকা ও জাকাতের। আরবি চান্দ্রবর্ষের দশম মাস শাওয়াল। এটি হজের তিন মাস (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ) এর প্রথম মাস। এ মাসের ৭ তারিখে তৃতীয় হিজরি সনে (২৩ মার্চ ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দে) ওহুদ যুদ্ধ বিজয় হয়েছিল। বর্ণিত আছে, ‘আল্লাহ তাআলা শাওয়াল মাসের ছয় দিনে আসমান…
Read More
ইবনে বতুতার হজ সফর

ইবনে বতুতার হজ সফর

মরক্কোর বিখ্যাত পর্যটক আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে বতুতা মরক্কোর বিখ্যাত পর্যটক আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে বতুতা ২১ বছর বয়সে হজ করার জন্য মক্কার উদ্দেশে রওনা দেন জন্মভূমি তানজিয়ার থেকে। সেটা আজ থেকে ৭০০ বছর আগের কথা। ১৩২৫ সালের জুন মাসে সফর শুরু করেন হেঁটে। ফলে প্রায় এক বছর পর ১৩২৬ সালের নভেম্বর মাসে তিনি তাঁর প্রথম হজ সম্পন্ন করেন। হজ সেরে তিনি মধ্য এশিয়ার দিকে যাত্রা শুরু করেন। মোট আড়াই দশকের পথ পরিক্রমায় তিনি ১ লাখ ২০ হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করেছেন। ভ্রমণকালে তিনি বাংলাদেশেও এসেছিলেন। তাঁর সফরনামা ‘রিহলা’য় উঠে এসেছে বিশ্বভ্রমণের বৈচিত্র্যময় বিবরণ। ইবনে বতুতা অন্তত তিনবার, আরেক বিবরণ অনুসারে…
Read More
কোরআন কেন আরবি ভাষায়

কোরআন কেন আরবি ভাষায়

পবিত্র কোরআন আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে। এর পেছনে যে গভীর তাৎপর্য রয়েছে, কোরআনের বিভিন্ন আয়াতেই তার ব্যাখ্যা করেছে। মহানবী (সা.)–এর সম্প্রদায়ের ভাষা মহানবী (সা.) আরবের মক্কায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর প্রথম শ্রোতা ছিলেন মক্কা ও তার আশপাশের আরব সম্প্রদায়। তাই তাদের কাছে আল্লাহর বাণী স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোরআন আরবি ভাষাতেই নাজিল হয়। কোরআনে আছে, ‘আমি প্রত্যেক রাসুলকে তার সম্প্রদায়ের ভাষায় পাঠিয়েছি, যাতে সে তাদের কাছে বাণী স্পষ্টভাবে পৌঁছে দিতে পারে।’ (সুরা ইব্রাহিম, আয়াত: ৪) কোরআনের আরেকটি আয়াতে আছে, ‘নিশ্চয়ই আমি এটিকে আরবি কোরআন করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পারো।’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত: ৩) এই আয়াত স্পষ্ট করে, প্রত্যেক নবী তাঁর সম্প্রদায়ের…
Read More
মা-বোনদের জন্য দুটি কথা

মা-বোনদের জন্য দুটি কথা

হজে গেলে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ আপনাকে জামাতে পড়তে হবে। তাই পরিচিত কারও কাছ থেকে জামাতে নামাজ পড়ার নিয়মটি জেনে নিন। ●      হজ বা ওমরাহ করতে গেলে অনেক দোয়া, দরুদ, সুরা, আয়াত মুখস্থ করতে হবে, তা নয়। কাজেই এসব দোয়া মুখস্থ করতে গিয়ে শুধু শুধু চিন্তা করবেন না। বই দেখে দেখে সবকিছু পড়া যাবে। শুধু নিয়মগুলো জেনে নেবেন কোথায় কী করতে হবে। ●      নারীদের হজে যেতে হলে মাহরামের প্রয়োজন হয়। ●      নারীরা ইহরাম হিসেবে সেলাই করা যেকোনো পোশাক পরতে পারেন। ●      ইহরাম অবস্থায় নারীরা মুখমণ্ডল আবৃত রাখবেন না। ●      ইহরাম অবস্থায় নারীরা গয়না পরতে পারবেন। জুতা…
Read More
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একদা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মজলিসে জনসম্মুখে কিছু আলোচনা করছিলেন। ইতোমধ্যে তাঁর নিকট জনৈক বেদুঈন এসে জিজ্ঞেস করল, ‘কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে?’ আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর আলোচনায় রত থাকলেন। এতে কেউ কেউ বললেন, লোকটি যা বলেছে তিনি তা শুনেছেন কিন্তু তার কথা পছন্দ করেননি। আর কেউ কেউ বললেন বরং তিনি শুনতেই পাননি। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলোচনা শেষে বললেনঃ ‘ক্বিয়ামাত সম্পর্কে প্রশ্নকারী লোকটি কোথায়?’ সে বলল, ‘এই যে আমি, হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেনঃ “ যখন কোন অনুপযুক্ত ব্যক্তির উপর কোন কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়, তখন তুমি কিয়ামতের অপেক্ষা করবে। ”(৬৪৯৬)…
Read More
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত।

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত।

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটিঃ মুখে স্বীকার এবং কাজে পরিণত করাই হচ্ছে ঈমান এবং তা বৃদ্ধি পায় ও হ্রাস পায়। [১] আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “যাতে তারা তাদের ঈমানের সঙ্গে ঈমান মজবুত করে নেয়-(সূরা ফাত্‌হ ৪৮/৪); আমরা তাদের সৎ পথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম- (সূরা কাহাফ ১৮/১৩); এবং যারা সৎপথে চলে আল্লাহ তাদের অধিক হিদায়াত দান করেন-(সূরা মারইয়াম ১৯/৭৬); এবং যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ তাদের হিদায়াত বাড়িয়ে দেন এবং তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দেন- (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭/১৭)। যাতে মু’মিনদের ঈমান বেড়ে যায়-(সূরা মুদদাস্‌সির ৭৪/৩১), আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন, এটা তোমাদের মধ্যে কার ঈমান…
Read More
আর স্মরণ করুন, যখন কাফেররা আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আপনাকে বন্দী করার জন্য, বা হত্যা করার অথবা নির্বাসিত করার জন্য। আর তারা ষড়যন্ত্র করে এবং আল্লাহও (তাদের ষড়যন্ত্রের বিপক্ষে) ষড়যন্ত্র করেন; আর আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী।(১)

আর স্মরণ করুন, যখন কাফেররা আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আপনাকে বন্দী করার জন্য, বা হত্যা করার অথবা নির্বাসিত করার জন্য। আর তারা ষড়যন্ত্র করে এবং আল্লাহও (তাদের ষড়যন্ত্রের বিপক্ষে) ষড়যন্ত্র করেন; আর আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী।(১)

হিজরত-পূর্বকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাফের পরিবেষ্টিত ছিলেন এবং তারা তাকে হত্যা কিংবা বন্দী করার ব্যাপারে সলা-পরামর্শ করছিল, তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের এ অপবিত্র হীন চক্রান্তকে ধূলিস্মাৎ করে দেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিরাপদে মদীনায় পৌছে দেন। ঘটনা এই যে, মদীনা থেকে আগত আনসারদের মুসলিম হওয়ার বিষয়টি যখন মক্কায় জানাজানি হয়ে যায়, তখন মক্কার কুরাইশরা চিন্তান্বিত হয়ে পড়ে যে, এ পর্যন্ত তো তার ব্যাপারটি মক্কার ভেতরেই সীমিত ছিল, যেখানে সর্বপ্রকার ক্ষমতাই ছিল আমাদের হাতে। কিন্তু এখন যখন মদীনাতেও ইসলাম বিস্তার লাভ করছে এবং বহু সাহাবী হিজরত করে মদীনায় চলে গেছেন, তখন এদের একটি কেন্দ্র মদীনাতেও স্থাপিত হয়েছে।…
Read More
কেমন ছিল নবীজির কুরবানি

কেমন ছিল নবীজির কুরবানি

এটি ‘শাআইরে ইসলাম’ তথা ইসলামের প্রতীকী বিধানাবলির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এর মাধ্যমে ‘শাআইরে ইসলামের’ বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এছাড়া গরিব-দুঃখী ও পাড়া-প্রতিবেশীর আপ্যায়নের ব্যবস্থা হয়। আল্লাহ ও তার রাসুলের শর্তহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে কুরবানিতে। নবীজিকে আল্লাহতায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন- আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কুরবানি আদায় করুন।  (সুরা কাওসার:২) অন্য আয়াতে এসেছে- (হে রাসুল!) আপনি বলুন, আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ রাব্বুল আলামীনের জন্য উৎসর্গিত। (সুরা আনআম: ১৬২) হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- কুরবানি করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না…
Read More
প্রাণের শহর প্রেমের মদিনা

প্রাণের শহর প্রেমের মদিনা

মুমিন হৃদয়ের গভীরতম ভালোবাসার প্রতীক মদিনা। এখানে শুয়ে আছেন প্রিয় নবী মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ (সা.)। তার কারণেই এ শহর হয়ে উঠেছে প্রেমের মদিনা, প্রাণের মদিনা। মদিনার প্রতিটি অলিগলি, প্রতিটি ধূলিকণা যেন নবীর স্মৃতিতে পূর্ণ। এ শহরের বাতাসে মিশে আছে নবীজির সুবাস। যা মুমিনদের হৃদয়ে এনে দেয় প্রশান্তি ও উচ্ছ্বাস। কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় লিখেছেন- ‘ওহে মোর সোনার মদিনা, তুমি আমার খোদার কাছে সারা জীবনের পাওনা। আর কিছু পাইবা না পাই, তোমার ধুলা চাই, তোমার ধুলা গায়ে মেখে পাপ মুছিতে চাই।’ মদিনা আমাদের আত্মার প্রশান্তি, আমাদের ভালোবাসার কেন্দ্র। আল্লাহতায়ালা কুরআনুল কারিমে এ পবিত্র ভূমিকে অসংখ্য নামে সম্বোধন করেছেন। ‘আরদুল্লাহ’ অর্থাৎ…
Read More
জিলহজের প্রথম ১০ দিনের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

জিলহজের প্রথম ১০ দিনের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান ও পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম হজ পালনের মাস জিলহজ। এই মাসের প্রথম ১০ দিনের বিশেষ গুরুত্ব ও ও তাৎপর্য রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এই দশকের রাতগুলোর শপথ করেছেন। জিলহজ মাসের মহান্বিত প্রথম দশককে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামি আলোচক আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশেনের চেয়ারম্যান শয়খ আহমাদুল্লাহ। বুধবার (২৮ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই আহ্বান জানান। শয়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, রমজানের পরে ইবাদেতের সবচেয়ে বড় মৌসুম হলো জিলহজের প্রথম দশক। রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে অন্য যে কোনো সময়ের আমলের চেয়ে জিলহজের প্রথম দশকের আমল অধিক প্রিয় (সহিহ বুখারি) তাই আসুন, এই শ্রেষ্ঠ দশককে ইবাদতের সৌরভে ভরিয়ে…
Read More
en_US